মনির খাঁন, মুরাদনগর উপজেলা প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার মুরাদনগরে প্রায় দীর্গ বছর ধরে লিখিত চুক্তি বায়নাপত্র অনুযায়ী জায়গা দলিল করে না দিয়ে উল্টো দুটি পরিবারকে হয়রানী করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাঙ্গরা বাজার থানাধীন শ্রীকাইল গ্রামের বাংলাদেশ ব্যাংকের অবপ্রাপ্ত অফিসার এ কে এম ফজলুল হকের বিরোদ্ধে অভিযোগ করে একই গ্রামের তার আপন ভাই ও এক শ্যালক।
অভিযোগ করে মোঃ জহিরুল হক বলেন: গত ২০/০২/১৯৯৯ সালে আমার বড় ভাই এ কে এম ফজলুল হকের শ্রীকাইল গ্রামের বাড়ী, পুকুর, ডোবাসহ সাড়ে ২৭শতক ভূমি বিক্রির জন্য আমাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি করা হয়। কিন্তু চুক্তি পত্র ভঙ্গ করিয়া তিনি অন্যত্র বিক্রি করার চেষ্টায় লিপ্ত হন এবং আমাকে হুমকি প্রদান করেন। এতে আমি মুরাদনগর থানায় একটি জিডি করি এবং ৩০/০৮/২০০২ সালে উভয় পক্ষ থানায় হাজির হয়ে তৎকালীন তদন্ত অফিসার এস আই আব্দুল জলিলের উপস্থিতিতে শর্তসাপেক্ষে লিখিত আপোস নামা করা হয়। কিন্তু আপোসনামা শর্ত ভঙ্গ করে ২৮/১০/২০০২ সালে তিনি ডোবা বাড়ী পুকুর ১২৫ শতক অন্দরে সারে ২৭ শতক অন্যত্র পত্তন দেন। পরবর্তীতে ০১/১১/২০০২ সালে তিনি পত্তন দেওয়া বাতিল করেন। দীর্গ বছর ধরে চুক্তিকৃত ভুমি আমায় দলিল করে না দিয়ে উল্টো হয়রানী ও প্রতারনা করে যাচ্ছেন। অন্যত্র বিক্রি করার চেষ্টায় লিপ্ত থাকেন।
পরবর্তীতে আমাদের উভয়ের শ্যালক মোঃ ওবাইদুল্লা নিকট ১১/০২/২০১২ সালে ১০২ শতক ভূমি ৩৫ লাখ টাকায় বিক্রির বায়নাপত্র করেন। নগদ ৪ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয় এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আরো ২৬ লক্ষ টাকা এ কে এম ফজলুল হকের সোনালী ব্যাংক একাউন্টের পাঠানো হয়। কথা ছিল অবশিষ্ট ৫ লক্ষ টাকা ০৩/০৫/২০১২ইং তারিখে মুরাদনগর সাব রেজিঃ অফিসে এসে দলিল সম্পাদনের দিন দেওয়া হবে। কিন্তু তার ব্যাংকে টাকা জমা হওয়ার পর নির্ধারিত দিনে দলিল সম্পাদন করতে আসেন নাই। ঐদিন তার গাজীপুর বাসায় সাব-রেজিস্টার অফিসার নিয়ে হাজির হলে তিনি মাত্র ১০২ শতকের মধ্যে মাত্র সাড়ে ৬ শতক ভূমি দলিল করে দেন। অবশিষ্ট জায়গাগুলো নিয়ে বিরোধ চলতে থাকে।
বর্তমানে মোঃ ওবাইদুল্লার দখলে থাকা পূর্বের বায়নাকৃত দুই দাগে ৮৬ শতক ভূমি দখলে রয়েছে। একেএম ফজলুল হক কর্তৃক দখল উচ্ছেদ করতে জোর পূর্বক ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে গত ১৯-০৮-২১ ইং তারিখে কুমিল্লা আদদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। যার পিআর মামলা নং ১৩০৩/২১ (বাঙ্গরা বাজার থানা)। এই চলামান বিরোধ মিমাংসায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রশাসনের ডাকে আপোস মিমাংসায় তিনি বসতে রাজি হচ্ছেন না। এতে করে আমাদের দুটি পরিবার আর্থিক ভাবে ক্ষয়ক্ষতি ও মানসিক বিপর্যয়ের মধ্যে দিনযাপন করতেছি।
এই বিষয়ে একেএম ফজলুল হক বলেন, এই বিষয়ে যেহেতু আদালতে মামলা হয়ে তাই আদালতের মধ্যমেই অভিযোগের জবাব দেওয়া হবে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page